নোয়াখালী প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারের সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি প্রার্থী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ তিনজন আহত হয়েছেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। ধানের শীষ প্রতীকে নোয়াখালী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। সেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম ইব্রাহিম।
শনিবার বিকালে সোনাইমুড়ি বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তিনি আহত হন বলে সোনাইমুড়ি থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান। ছররা গুলিতে আহত খোকনসহ তিনজনকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর দুজন হলেন ইকবাল হোসেন রুবেল ও মো. সোহেল। মাহবুব উদ্দিন খোকন শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকনের অভিযোগ, পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেছে। তবে তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা মজিদ। তিনি বলেছেন, সংঘর্ষ থামাতে তারা ফাঁকা গুলি ছুড়লেও তা কারও শরীরে বিদ্ধ হয়নি। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ তিন জনকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। খোকনের পিঠে ছররা গুলি লেগেছে। অপর দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এই গুলি লেগেছে।
বিকালে সোনাইমুড়ি বাজারে নৌকা ও ধানের শীষের পক্ষে মিছিল বেরোয়। কিছুক্ষণ পর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলিও হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ফাঁকা গুলি করেছে। তবে পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হয়নি,” বলে ওসি মজিদ। এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, আমার কোনো কর্মী-সমর্থক হামলা চালায়নি; বরং মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে বিএনপির কর্মীরা বিনা উসকানিতে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং নির্বাচনী অফিসসহ ৪/৫টি দোকান ভঅংচুর করে। এতে আমাদের ৮/১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ বলেন, দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পাঁচ পুলিশ আহত হয়েছে। ভাংচুর থামাতে পুলিশ শটগান থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হয়নি। মাহবুব উদ্দিন খোকনের আহত হওয়ার বিষয়ে এসপি ইলিয়াস বলেন,তিনি গুলিতে আহত হয়েছেন কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে। এর আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল হোসেন বলেন, রিপোর্ট ইত্যাদি দেখে বোঝা যাচ্ছে মাহবুব উদ্দিন খোকনের থুতনি, পিঠসহ শরীরের কয়েকটি স্থানে তিনি আঘাত পেয়েছেন। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত। মাহবুব উদ্দিন খোকনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন কুলা প্রতীকের প্রার্থী বিকল্পধারা নেতা মো. ওমার ফারুক।তিনি এ হামলার তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।