নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ অক্টোবর ২০২০
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের অর্ন্তভুক্ত কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এইচ মাসুদ মিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তার ও তার অনুসারীদের অপকর্মে অতিষ্ঠ কামরাঙ্গীরচর এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে খোদ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও।
সূত্র মতে, ছাত্রলীগের গঠনতদন্ত অনুযায়ী-কেউ ছাত্রলীগ করতে হলে ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত বিয়ে করতে পারবে না। কিন্তু এম এইচ মাসুদ মিন্টু ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালে তিনি বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ খোদ কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। ডেনাইট.কম কর্তৃপক্ষের কাছে মিন্টুর বিয়ের নিকাহ্নামার প্রমাণ রয়েছে। সেখানে এম এইচ মাসুদের (মিন্টু) নাম বর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
তার বাবার নাম উল্লেখ রয়েছে মো. খোকন। এছাড়া মাদক সেবন, চাঁদাবাজিরও অভিযোগ রয়েছে মিন্টুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, কামরাঙ্গীরচরের চিনির বাড়ি এলাকার এক সূতা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন মিন্টু ও তার সহযোগী সবুজ আহমেদ সানি। চাঁদা না পেয়ে ওই ব্যবসায়ীর সূতার কারখানায় ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এতে ওই ব্যবসায়ীর কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এরকম ভাংচুরের একটি ভিডিও ডেনাইট.কম কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে।
হাসি নামের স্থানীয় এক মহিলাও অভিযোগ করেন, মিন্টু ও সানি তারও কাছেও চাঁদা দাবি করে। তারা বলে আমি স্বীকার যেতাম যে, আমি মাদক ব্যবসা করি। হাসির অভিযোগ, মিন্টু ও সানি কতোগুলো মায়া বড়ি আনে। সেগুলো দেখিয়ে বলে, ইয়াবা লাগবে না। টাকা না দিলে এগুলো দিয়া তোমারে ফিটিং দিবো, পুলিশে ধরিয়ে দিবো।
শুধু তাই নয়; স্থানীয় বিভিন্ন কারখানা ও পরিবহন থেকে চাঁদা তোলারও অভিযোগ রয়েছে মিন্টু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ভাষ্যমতে, মিন্টু এক সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরকম একজন অনুপ্রবেশকারী কিভাবে ছাত্রলীগের একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনো বহাল রয়েছে? মিন্টুর বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নিলে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারী মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের স্বাক্ষরিত ছাত্রলীগের প্যাডে পারভেজ হোসেন বিপ্লবকে সভাপতি ও এম এইচ মাসুদ মিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক এবং শারিফুল ইসলাম শরিফকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কামরাঙ্গীরচর থানার কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে থাকা ছাত্রলীগের নেতারাও মিন্টুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়।
এসব বিষয়ে জানতে মিন্টুকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।