
ডেনাইট ডেস্ক | রবিবার, ১৯ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
উজান থেকে নেমে আসা পাহারী ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে ফরিদপুর জেলার নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত ৪৮ ঘন্টায় পদ্মানদীর পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। যদিও এখন তা বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির যে হার তাতে দু একদিনের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করার শংকা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির ফলে ফরিদপুরের পদ্মা, আড়িয়াল খা, মধুমতি, কুমার ও চন্দনা-বারাসিয়া নদীর পানি বেড়েছে আশংকাজনক হারে। পানি বৃদ্ধির ফলে ফরিদপুরের চরাঞ্চলের নিম্মাঞ্চল এলাকাসমূহ ইতোমধ্যেই পানির নীচে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি ঢুকে পড়ায় চরাঞ্চলের বাদাম, তিল, ধানসহ শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পদ্মানদী বেষ্টিত ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর, চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের বেশীর ভাগ চরাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে এখানকার মানুষেরা অসহায় অবস্থার মধ্যে দিনযাপন করছে। নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের সোহরাব মাতুব্বর জানান, হঠাৎ করেই সবকিছু তলিয়ে যাচ্ছে। একরাতে তলিয়ে গেছে চরের ফসলী জমি। তারা যে বাদাম লাগিয়ে ছিলেন তা তুলতে পারেন নি। ফলে তাদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। অনেকেই ঋন-কর্জ নিয়ে সবজির আবাদ করেছিলেন। সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় তারা বেশ লোকসানের মধ্যে পড়েছেন।
নর্থ চ্যানেল ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ৫০০ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের বেশীর ভাগ পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে বাদাম, তিল, কলাবাগানসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে পদ্মা ও মধুমতি নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে নদী ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে কয়েক হেক্টর ফসলী জমি বিলিন হয়েছে। মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে আলফাডাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বেশকিছু বাড়ী ঘর, স্থাপনাসহ ফসলী জমি নদীতে বিলিন হয়েছে। ফলে এসব এলাকার মানুষ চরম আতংকের মধ্যে দিনযাপন করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, ফরিদপুরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যদিও পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় বলেন, বন্যা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে ফরিদপুরের ৯ টি উপজেলায় ৭টন করে ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের ১৫০ টনের অধিক ত্রাণ মজুদ রয়েছে। আশা করি, বন্যা মোকাবেলায় তেমন কোনো সমস্যা হবেনা।
Posted ৪:১১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
daynightbd.com | daynight bd
.
এ বিভাগের আরও খবর
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |