অনলাইন ডেস্ক | ০৮ মার্চ ২০১৭
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কুমিল্লার চান্দিনায় বাসে তল্লাশি চলাকালে পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই জঙ্গির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ বুধবার ভোররাত থেকে এই অভিযান চালানো হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযানে অংশ নেয়।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবে পুলিশ।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইরুল ইসলাম জানান, মিরসরাইয়ে অভিযান চালানো বাড়িটির নাম ‘রিদওয়ান ভবন’। দোতলা বাড়িটির নিচতলায় থাকতেন গ্রেপ্তার হওয়া দুই জঙ্গি। বাড়ির মালিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁদের সঙ্গে একজন নারী ও একটি শিশুও থাকত। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে তাঁরা (ওই নারী ও শিশু) চলে যান। অভিযানের সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। অভিযান শেষে বাড়িটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে। মিরসরাইয়ের থানার পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। পুলিশের বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় দল এসে বাড়িটি পরীক্ষা করবে।
এর আগে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. রেজাউল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, কুমিল্লা চান্দিনায় গ্রেপ্তার দুই জঙ্গির কাছ থেকে তথ্য পেয়ে এই অভিযান শুরু করে পুলিশ। গত ফেব্রুয়ারিতে বাসাটি ভাড়া নেওয়া হয়। ওই বাসায় তাঁরা গোলাবারুদ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম মজুত রেখেছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানাবে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার খাঁদগড় এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস থেকে জসীমউদ্দিন ও হাসান নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ দাবি, তাঁরা ‘জঙ্গি’। পুলিশ জানায়, খাঁদগড় এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস তল্লাশি করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। এ সময় পুলিশও গুলি ছোড়ে। এতে জসীমউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। হাসান নামের আরেকজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাঁকে আটকায়।