অগ্রবাণী ডেস্ক | ১২ মার্চ ২০১৭
‘খোদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ঝড় জলের রাত্রে তার বাহনটিকে আমার ঘরে পাঠিয়েছেন লালনপালনের জন্য। আমি ওকে ভগবানের অংশ মনে করেই প্রতিপালন করব।’ এ বক্তব্য ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার নিমডাঙা গ্রামের নেপালের।
ওই গ্রামে ঘটেছে এক বিরল ঘটনা। গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়েছে এক চার কানওয়ালা বাছুর। এই অদ্ভুত চেহারার বাছুরকে একবার চোখের দেখার জন্য ভিড় করেছেন গ্রামের মানুষজন।
জানা গিয়েছে, ১০ মার্চ রাত্রে নিমডাঙার নেপাল মান্ডির বাড়িতে জন্ম নেয় একটি বাছুর, যার চারটি কান রয়েছে। ঠিক কখন জন্মেছে বাছুরটি, তা অবশ্য বলতে পারছেন না গৃহস্থেরা। তবে অনুমান, শুক্রবার মাঝরাতে বৃষ্টি থামার পরেই বাছুরটি জন্ম নেয়।
পরদিন সকালে গোয়াল থেকে গরু বের করতে গিয়ে নেপালবাবু দেখেন, গোয়ালে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই অদ্ভুতদর্শন গোশাবক। গৃহস্থের ধারনা, ওই বাছুর সাক্ষাৎ ভগবান। মুখে মুখে এই খবর চাউরও হয়ে যায় চতুর্দিকে। লোকে ভিড় জমায় ওই বাছুরকে দেখতে।
গোয়ালতোড় ব্লকের প্রাণী চিকিৎসক ডাক্তার সমরেশ দত্ত অবশ্য এই অদ্ভুত বাছুরের জন্মের কোনও দৈবী ব্যাখ্যা মানতে নারাজ। তিনি বলছেন, ‘এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। একে বলে ফিস্টাল ডিস্কোটিয়া। অর্থাৎ বাছুরটির গর্ভবাসের সময়েই কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এই ধরনের শাবক সাধারণত বেশি দিন বাঁচে না। যদি বাছুরটি বেঁচে যায়, তা হলে তার অতিরিক্ত কান দু’টি অপারেশন করতে হবে। কারণ চারটে কানে ও শুনতে পাবে না।’
তবে গ্রামবাসীরা এই সমস্ত ডাক্তারি ব্যাখ্যা কানে তুলছেন না। তাঁরা ওই জীবকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাহন মনে করে পূজার্চনাও শুরু করে দিয়েছেন। নেপালবাবুও বলছেন, ‘খোদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ঝড় জলের রাত্রে তাঁর বাহনটিকে আমার ঘরে পাঠিয়েছেন লালনপালনের জন্য। আমি ওকে ভগবানের অংশ মনে করেই প্রতিপালন করব।’
-এলএস
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |