অনলাইন ডেস্ক | ১৩ মার্চ ২০১৭
বাংলাদেশের পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত চারকোলের গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে পাটনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে চারকোল উৎপাদন থেকে শুরু করে রফতানিসহ অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সভাপতিত্বে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সভায় পাট প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত চারকোল একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় শিল্প। চারকোলের উৎপাদন পাটের বহুমুখী ব্যবহারের একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। চীন বাংলাদেশে উৎপাদিত চারকোলের বড় বাজার ।
বর্তমানে চারকোল বিদেশে রফতানি হচ্ছে। আর এই রফতানির পরিমাণ প্রায় বছরে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে বিদেশে রফতানির সময় বিদেশি জাহাজ কোম্পানি চারকোল বহন করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন এ ব্যাপারে পাট মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ হচ্ছে, তাদের চাহিদা অনুযায়ী চারকোল রফতানির সময় সব ধরনের টেস্ট রিপোর্ট, আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দেয়া হয়। কিন্তু এর পরও তারা গত কিছু দিন ধরে রফতানিতে বাধার সৃষ্টি করছে।
এদিকে সভায় সব চারকোল ব্যবসায়ীকে ব্যবসার জন্য লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টি পাটনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ চারকোল উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেজিং, রফতানিসহ অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনার করে সুপারিশ করার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার সাহাকে আহ্বায়ক করে ৮ সদ্যসের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বাংলাদেশে মানসম্মত চারকোল উৎপাদন থেকে বিভিন্ন বিষয় সুপারিশ করবে। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন বুয়েট, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, বিএসআর আই, বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফাকাচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি। এ ছাড়াও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব অন্তর্ভুক্ত থাকছেন। আর তিনি পাটের উপসচিব হিসেবে থাকবেন। তবে কমিটি যে কাউকে কো-অপ্ট করতে পারবেন।