নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ নভেম্বর ২০১৭
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বনানীতে এমএস মুন্সি ওভারসিজ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক সিদ্দিক হোসেনকে খুনের কোন কূল কিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি’র ফুটেজ সংগ্রহ করে চার মুখোশচারী খুনিকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে বনানী থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু ঘটনার তিনদিনেও তাদের গ্রেফতার তো দূরে থাক; কি কারণে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে সেই ধারণা করতেই হিমশিম খাচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ছায়া তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশ। এমনকি হত্যাকান্ডের পেছনে সন্দেহভাজন কারণ কিংবা ধারণা নিয়েও নিশ্চিত নয় নিহতের পরিবার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মতিন বলেন, তিন দিনের তদন্তে প্রকাশ করার মত তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। যা পেয়েছি তা প্রকাশ করলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। তবে তদন্তে অগ্রগতি আছে বলে দাবি করেন তিনি। ঠিক কি কারণে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে তারা তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত মূল কারণ আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, তিন দিনেও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার। তাদের দাবি, পুলিশ তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করলেও আপডেট জানাতে পারছে না। তারা দৃশ্যমান কিছু দেখতে চান। নিহতের জামাতা আবু হানিফ বলেন, আসলে বাবাকে কে বা কারা কি কারণে হত্যা করেছে তা বুঝতে পারছি না। তার তো কোন শত্রু ছিল না। তবে তার ধারণা, ব্যবসায়ীক কারণেই সিদ্দিক হত্যার শিকার হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পরের ঘটনায় ওই এজেন্সিতে কর্মরত এবং নিহতের আত্মীয় মোখলেসুর রহমান, মোশতাক এবং স্টাফ পারভেজ গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের ও ওই অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের দেয়া তথ্য গুরুত্বসহকারে মাথায় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি তদন্তকারী কর্মকর্তারদের। মামলাটির ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)। জানতে চাইলে ডিবি উত্তরের এডিসি শাহজাহান বলেন, গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কিছু নেই। আশা করিছ, খুবই শিগরিই চিহ্নিত কিলাররা ধরা পরবে।