ডেনাইট ডেস্ক | ২২ নভেম্বর ২০১৭
সমালোচকদের জবাব দিতে সেরা অস্ত্রটাই বেছে নিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও করিম বেনজেমা। দুবার করে বল জালে পাঠালেন, সঙ্গে সতীর্থের গোলেও রাখলেন অবদান। আক্রমণভাগের এমন ছন্দে রিয়াল মাদ্রিদও পেল বিশাল জয়। মঙ্গলবার রাতে আপোয়েল নিকোশিয়াকে তাদেরই মাঠে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে উঠে গেছে জিনেদিন জিদানের দল। তাদের অন্য দুটি গোল লুকা মদ্রিচ ও নাচো ফের্নান্দেসের। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে সাইপ্রাসের দলটিকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল রিয়াল।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এর আগের চার ম্যাচের মাত্র একটিতে জেতা রিয়ালকে আপোয়েলের বিপক্ষেও শুরুতে ঠিক ছন্দে দেখা যায়নি। বারবার আক্রমণে উঠলেও তার অধিকাংশই ছিল এলোমেলো। কিন্তু প্রতিপক্ষের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিরতির আগেই জয়-পরাজয়ের হিসেবটা চুকিয়ে ফেলে তারা। গোলবন্যার শুরুটা হতে পারতো তৃতীয় মিনিটেই; কিন্তু বেনজেমার ক্রস বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে বসেন রোনালদো। প্রথম গোলের দেখা মেলে ২৩তম মিনিটে। আপোয়েলের এক ডিফেন্ডারের বাজে রক্ষণের পর ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো ভলিতে জালে পাঠান ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ।
কিছুটা সময় কাটার পর দুই মিনিটের ব্যবধানে আরও দুটি গোল করে রিয়াল। টনি ক্রুসের লম্বা পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বেনজেমা। আর কর্নার থেকে উড়ে আসা বল রাফায়েল ভারানের হেডের পর গোলমুখ থেকে টোকায় দলের তৃতীয় গোলটি করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার নাচো। বিরতির ঠিক আগে যোগ করা সময়ে রোনালদোর নি:স্বার্থ পাস পেয়ে স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরার আশা শেষ করে দেন বেনজেমা। একজনকে কাটিয়ে শট নেওয়ার ঠিক আগুমহূর্তে ডানে ছোট পাস দেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড, অনায়াসে আসরে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফরাসি স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটা তার ৫৩তম গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করেন রোনালদো।
৪৯তম মিনিটে মার্সেলোর ক্রসে হেডে করেন প্রথমটি। আর দ্বিতীয়টি আসে প্রতিপক্ষের ভুলে। এক ডিফেন্ডার বল হারানোর পর ছুটে এসে শট নেন গোলরক্ষক, বল বেনজেমার পায়ে লেগে চলে যায় বাঁয়ে। ওখান থেকে দারুণ কোনাকুনি শটে আসরে নিজের অষ্টম গোলটি করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। ইউরোপ সেরার মঞ্চে এই নিয়ে রোনালদোর গোল হলো ১১৩টি।