নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ নভেম্বর ২০১৭
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ব্যাডমিন্টন মাঠে আলোকসজ্জা নিয়ে বিরোধের জেরে কাওছার আহমেদ (২০) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ির শনিরআখড়ায় দনিয়া কলেজের সামনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সাথে জড়িত পুলিশ পাপ্পু, রিফাত, তুহিন, সাঈদ আমান ও আশিকুর রহমান নামে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত কাওছার যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকার একটি গাড়ীর ওয়ার্কশপে মোটর মেকানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চাঁদপুরের মতলব থানার বহুরী দীঘি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। দনিয়া কলেজের পেছনে ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো.আনিছুর রহমান জানান, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে ব্যাডমিন্টনের একটি কোট থেকে পাশের আরেকটি কোটে বিদ্যুতের লাইন নেয়াকে কেন্দ্র করে দনিয়া ও গোবিন্দপুর গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডতা হয়। এক পর্যায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের পাপ্পু, রিফাত, তুহিন, সাইদ ও আমানসহ (তাদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ কয়েকজন কাউসারকে মারধর করে। এ সময় কাওছার দৌড়ে পালাতে থাকলে দনিয়া কলেজের সামনে তাকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে কাওছারের মাথা, বুক ও পিঠ ক্ষত-বিক্ষত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো বলেন, এই ঘটনায় পাপ্পু, রিফাত, তুহিন, সাইদ আমান ও আশিকুর রহমান নামে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এদের সাথে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় পূবের কোন শত্রুতা বা অন্য কোন ঘটনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত কাওছারের মামা বাবুল বিশ্বাস জানান, ময়নাতদন্ত শেষে কাওছারের লাশ দনিয়ায় নেয়া হয়েছে। পরিবারের সাথে আলোচনা করে দাফনের স্থান ঠিক করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, এই হত্যাকান্ডের মূল হোতা রাব্বি। তাকে পুলিশ এখনো ধরতে পারেনি।