নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ নভেম্বর ২০১৭
রাজধানীর বনানীতে জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক সিদ্দিক হোসেন মুন্সি হত্যায় দায়ের করা মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মামলার তদন্তভার অফিসিয়ালি বনানী থানা থেকে ডিবি (উত্তর) বিভাগে ন্যস্ত করা হয়।
এবিষয়ে ডিবি উত্তরের এডিসি মো. শাহজাহান বলেন, মামলার নথি হাতে পেয়েছি। তদন্ত চলছে। ঘটনার পরেই ওই প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে ও আহতদের বর্ণনা শুনে চার মুখোশদারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই ঘাতকদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পারবো। এদিকে সিদ্দিক হোসেনকে গুলি করে হত্যার ১০দিন পার হলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি কেউ। এমনকি, কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর রাতে ‘এমএস মুন্সি ওভারসিজ’ নামে রিক্রুটিং এজেন্সিটি’র কর্ণধার সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে (৫০) গুলি করে হত্যা করে চার মুখোশধারী দুর্বৃত্ত। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের আরও তিন কর্মকর্তা মির্জা পারভেজ (৩০), মোখলেসুর রহমান (৩৫) ও মোস্তাফিজুর রহমান (৩৯) গুলিবিদ্ধ হন। সিদ্দিকসহ আহদের গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সিদ্দিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এঘটনায় ১৫ নভেম্বর রাতে বনানী থানায় নিহত ব্যবসায়ী সিদ্দিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সিদ্দিক হোসেন মুন্সি তার স্ত্রী জোসনা বেগম, দুই মেয়ে সাবরিনা সুলতানা ও সাবিহা সিদ্দিক, এবং ছেলে মেহেদী হাসানকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কে একটি বাসায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত সিদ্দিকের বুকের বামপাশে একটি গুলি ঢুকে পিঠের ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। আর একটি গুলি তার বাম হাতে লাগে। হত্যার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও খুনিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ডিএমপি বলছে, সিদ্দিক হোসেন মুন্সি হত্যাকান্ডের পর সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজে চারজন সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে চিহ্নিত করা গেছে।
এটি ছিল আড়াই মিনিটের কিলিং মিশন। ফুটেজে দেখা যায়, চার মুখোশধারী স্বাভাবিকভাবে হেঁটে রাত ৭টা ৪৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে প্রধান ফটক দিয়ে অফিসে প্রবেশ করছে। ৭টা ৫২ মিনিট ৬ সেকেন্ডে অর্থাৎ প্রায় আড়াই মিনিট পর স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে তারা সেখান থেকে বের হয়ে আসছে। ওই ঘটনার পর ওই ভবনের দুই দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ ও আসামি শনাক্তের জন্য বনানী থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তাদের একজনের নাম বাজি।
জিজ্ঞাসাবাদে বাজি পুলিশকে জানায়, তার সামনে দিয়ে চার মুখোশধারী ভেতরে প্রবেশ করে। আড়াই মিনিট পর বের হয়ে আসে। তবে বের হওয়ার সময় তাদের মুখে মুখোশ ছিল না। ভেতর থেকে একজন দরজায় ধাক্কা দিচ্ছিল, তার শব্দ শুনে তিনি বাইরে থেকে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে সবাইকে এলোপাতাড়ি মাটিতে শুয়ে থাকতে দেখেন। তবে গুলির কোনো শব্দ শুনতে পাননি বলে পুলিশকে জানান তিনি। কিন্তু জড়িত চারজনের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই চারজনকে গ্রেফতারে নগরবাসী তথা জনসাধারণের সহায়তা চেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |