নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭
রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগর এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, সাদ্দাম হোসেন (২৫) ও আলামিন (৩২)। আজ শুক্রবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। ডিবির দাবি, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আফতাব নগরে অভিযান চালালে উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হন আলামিন ও সাদ্দাম। তারা বনানীতে ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সী হত্যার ঘটনায় জড়িত। তবে নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, ডিবি পরিচয়ে ধরে নিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নামে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে তাদের।
নিহত সাদ্দামের বাবা হাসমত হোসেন জানান, সাদ্দাম স্ত্রী লিজা ও ৪ বছরের মেয়ে সোহানাকে নিয়ে গাজিপুর জয়দেবপুর উপজেলার মালেকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখানে তিনি একটি মম ও মশার কয়েল কারখানা চালাতেন। গত ২৪ নভেম্বর সাদ্দাম স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় তার স্ত্রী’র বড়বোনের বাসায় বেড়াতে যান। ওইদিনই সন্ধ্যায় ডিবি পরিচয়ে ৪টি গাড়ি নিয়ে ওই বাসা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলো সাদ্দাম। আজ এলাকার লোকমারফত ক্রসফায়ারের খবর শুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে এসে সাদ্দামের লাশ দেখতে পাই।
নিহত আলামিনের স্ত্রী খাদিজা আক্তার জানান, নিহত আলামিনের পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। বর্তমানে তারা দক্ষিনখানের আতিপাড়ায় ১ বছর ধরে থাকেন। আগে গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় থাকতেন। নাইম হাসান নামে ৩ মাসের একটি ছেলেও আছে তাদের। আলামিন বিভিন্ন মেলায় খেলনা বিক্রি করতেন। তিনি জানান, গত ১ ডিসেম্বর জুমার নামাজ শেষে বাসায় এসে বেরিয়ে পড়েন আলামিন। এরপর বাসার বাইরে একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খান। এরমধ্যে জানতে পারেন আলামিনকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছে। এরপর অনেক খোজাখুজি করেও আলামিনের কোনো সন্ধ্যান পাননি। গতকাল এলাকার লোকজনের কাছে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ খবর শুনে ঢামেক মর্গে লাশ শনাক্ত করেন। নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ, নিহতদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অপকর্মের অভিযোগ নেই। ডিবি পুলিশ পরিকল্পিতভাবে তাদের ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তারা।
ডিবি উত্তর জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) গোলাম সাকলাইন শিথিল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আফতাব নগরে অভিযান চালানো হয়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে আলামিন ও সাদ্দাম আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, নিহত দুইজনই বনানীতে ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সী হত্যার ঘটনায় জড়িত।
এদিকে গত ৫ ডিসেম্বর এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হেলাল নামে একজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। এরপর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, বনানীর ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সী হত্যায় জড়িত পিচ্চি আলামিন ও সাদ্দাম নামে আরো দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরপরেই গতকাল ভোরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন তারা। পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সী হত্যাকান্ডে বিপুল পরিমাণ অর্থের চুক্তি হয়। হেলাল একজন পেশাদার খুনি। এই হত্যাকান্ডে মোট ছয়জন অংশ নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী বি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১১৩ নম্বর বাড়িতে এস মুন্সি ওভারসিস নামক প্রতিষ্ঠানে ঢুকে সিদ্দিক মুন্সীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের ৩ জন আহত হন।
ড়িত থাকার অভিযোগে হেলাল নামে একজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। এরপর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, বনানীর ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সী হত্যায় জড়িত পিচ্চি আলামিন ও সাদ্দাম নামে আরো দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরপরেই গতকাল ভোরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন তারা। পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সী হত্যাকান্ডে বিপুল পরিমাণ অর্থের চুক্তি হয়। হেলাল একজন পেশাদার খুনি। এই হত্যাকান্ডে মোট ছয়জন অংশ নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী বি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১১৩ নম্বর বাড়িতে এস মুন্সি ওভারসিস নামক প্রতিষ্ঠানে ঢুকে সিদ্দিক মুন্সীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের ৩ জন আহত হন।