নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭
সীমান্ত ব্যাংকের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর বনানীর রেডিসন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বিশেষ অতিথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিবি‘র মহাপরিচালক এবং সীমান্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঊর্ধ্বতন সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সীমান্ত ব্যাংকের পরিচালকগন ও ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন দেশের প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করে দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম মূল লক্ষ্য। এক্ষেত্রে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিকট মূলধারার ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দেয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে সীমান্ত ব্যাংকের অগ্রণী ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন,সীমান্ত অঞ্চলে অর্থনৈতিক ছড়িয়ে দিতে সীমান্ত ব্যাংক কাজ করে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, বিজিবির সহায়তায় সীমান্ত ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কাজটি সহজে করতে পারবে এবং তাদের সেই সুযোগ রয়েছে। সীমান্ত ব্যাংকের সফলতা কামনা করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কাজ করছি দেশের সীমান্ত এলাকায় ব্যাংকের শাখা স্থাপন করে অত্র অঞ্চলে উদ্যোক্তা তৈরীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধির জন্য। আমরা বিশ্বাস করি সীমান্ত এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পেলে সীমান্তে সবধরনের অবৈধ কর্মকান্ড ও চোরাচালান হ্রাস পাবে।
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী মুখলেসুর রহমান বলেন, আমরা শহর কেন্দ্রিক অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে গ্রামীন অর্থনীতির দিকে মনোনিবেশ করছি। গ্রামীন জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবা আওতায় এনে তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। যেহেতু, বিজিবি দেশের চারপাশে ছড়িয়ে আছে সেহেতু আমাদের জন্য কাজটা সহজ হবে।