নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭
রাজধানীর দয়াগঞ্জে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে ৬ মাসের শিশু আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাতে ছিনতাই ও হত্যা দুটি ধারাই যুক্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী আরাফাতের বাবা শাহ আলম। এদিকে এ ঘটনার পর দয়াগঞ্জ চেকপোস্টে দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বদরুল ইসলামকে ক্লোজ করা হয়েছে। তবে কেন তাকে ক্লোজ করা হলো সে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি।
ওয়ারী জোনের সিনিয়র সহকারী পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, ওই শিশু (আরাফাত) যেখানে মারা গেছে তার পাশের চেকপোস্ট দায়িত্ব ছিল বদরুলের। তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে আমাদের প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে। সে কারণে তাকে ক্লোজড করে ডিসি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান,মামলায় অজ্ঞাত একজন ছিনতাইকারীকে (হত্যাকারী) হিসেবে আসামি করা হয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। তবে বদরুলকে ক্লোজড করার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনিক কারণে তাকে ক্লোজড করা হয়েছে।
এরআগে সোমবার ভোরে রাজধানীর দয়াগঞ্জ ঢালে শাহ আলম ও আকলিমা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা রিকশায় থাকা আকলিমার ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দিয়ে দৌড় দেয়। এ সময় মায়ের কোলে থাকা ছয় মাসের শিশু আরাফাত মাটিতে পড়ে যায়। পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আকলিমা ও শাহ আলম শরীয়তপুর সদরের নরসিংপুরের বাসিন্দা। ছোট ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে লঞ্চযোগে ওই ভোরেই শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছিলেন তারা।