নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭
ইংরেজি বছরের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে বহিরাগতদের গুলশান এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। আজ মঙ্গলবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক-সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় কমিশনার বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোনো সমাবেশ, গান-বাজনা, আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে গুলশান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থানরত বাহিরের লোক এলাকা ছেড়ে চলে যাবে। আর স্থানীয়রা রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রবেশ করবেন। গুলশান এলাকায় প্রবেশে শুধুমাত্র কাকলী ও আমতলী ক্রসিং দিয়ে যেতে হবে। রাত ৮টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ব্যতীত কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। পায়ে হেঁটে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।
কমিশনার আরও বলেন, যদি কেউ চার দেয়ালের মধ্যে নববর্ষ উদযাপন করতে চায় তাতে বাধা নেই। তবে অনুষ্ঠানের আগেই পুলিশকে জানাতে হবে। রাস্তায় কেউ অপ্রীতিকর কাজ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত রাজধানীর সব বার বন্ধ থাকবে। কেউ এ নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উদযাপনের বিষয়ে কমিশনার বলেন, বড়দিনে প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে থাকতে হবে। আর্চওয়ে দিয়ে সব দর্শনার্থীদের চার্চে ঢুকতে দেয়া হবে। তল্লাশির ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়ালি হাত দিয়ে তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। কোনো প্রকার ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ, ব্যাগপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।
এছাড়া চার্চ এলাকায় কোন ভাসমান দোকান বা হকার থাকতে দেয়া হবে না। কমিশনার বলেন-সরকারী নীতি অনুযায়ী সবধরনের ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা দেয়া দায়িত্ব আমাদের। বড়দিনের নিরাপত্তায় আমাদের পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। বড়দিনকে ঘিরে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আমাদের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। রাজধানী জুড়ে ব্লক রেইড, চেকপোস্ট, আবাসিক হোটেলসহ বড় বড় স্থাপনায় নিয়মিত নজরদারি রাখা হচ্ছে।