নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭
বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের সেনারা অভাবনীয় ভূমিকা পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করে চলেছেন। বাংলাদেশের পরিচিতি বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে গিয়ে অনেকে নিহতও হয়েছেন। আবার অনেকেই চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের অবদান পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণ এবং আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। ২০০৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিম আফ্রিকার বেনিনে বিশ্বশান্তি রক্ষার দায়িত্ব পালনকালে নিহত ১৫ বাংলাদেশী সেনাসহ এ পর্যন্ত নিহত সব সেনাদের স্মরণে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়। সভায় ২৫ ডিসেম্বর তারিখকে বিশ্বশান্তি সেনাদিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বানও জানানো হয়।
এসময় হৃদম কালচারাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউ.এন.পি.এফ এর সেক্রেটারী জেনারেল মেজর আমীন আহমেদ আফসারী (অব.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম ওয়াহিদুর রহমান, ২০০৩ সালে নিহত সেনাদের স্বজন ও সেনাবাহিনীর বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এ পর্যন্ত বিশ্ব শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে ১৩০ জন সেনা সদস্য নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়েছেন বলে সভায় জানানো হয়।
ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, জাতিসংঘ যারা নিয়ন্ত্রন করে তারাই সারাবিশ্বে অশান্তি তৈরী করছে। আবার তারাই শান্তিরক্ষী নিয়োগ দিচ্ছে। সুতরাং বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব দেশের একত্রীত হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে নিহত সেনাদের স্মরণে স্তম্ভ তৈরী করা হয়। পরবর্তী প্রজন্ম তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। শান্তিরক্ষা মিশনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের স্মরনে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের তাগিদ অনুভব করেন তিনি।
২০০৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত ক্যাপ্টেন আরিফের মা ফরিদা আক্তার বলেন, আজকের দিনটা দেশ, বিশ্ব ও আমাদের জন্য একটি দূর্যোগের দিন। ১৪ বছর হয়ে গেলো ছেলের অপেক্ষায় বসে আছি। আমার ছেলে বলতো, মা আমি কমান্ড ট্রেনিং প্রাপ্ত যেকোনো পরিস্থিতি সামলে নিতে পারবো।
আমিও ভাবতাম, আমার ছেলের কিছু হবে না। অন্য সেনারা ওর কাছ থেকে শিখবে। কিন্তু তা আর হলো না। ও রিচিনের জন্য পরোপারে চলে গেলো বলেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। স্মৃতিসৌধ না থাকায় নিহতদের সবাই ভুলতে বসেছে জানিয়ে ফরিদা আক্তার বলেন, একটি স্তম্ভ থাকলে নতুন প্রজন্ম সেটি দেখে উৎসাহিত হবে। তারাও ভাববে আমরা এদের মত বীর হবো।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |