ডেনাইটবিডি ডেস্ক | ০৬ জানুয়ারি ২০১৮
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মুকুট ধরে রাখলো আবাহনী লিমিটেড। এক ম্যাচ হাতে রেখে ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের উৎসবও সারল দলটি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে আবাহনী ২-০ গোলে জিতে। প্রথম পর্বে দুই দলের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল।
২১ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করা আবাহনী আগামী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে শেষ ম্যাচ খেলবে। ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শেখ জামাল একই দিনে খেলবে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে। ২৩তম মিনিটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় আবাহনী। ডান দিক থেকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে সোহেল রানার বাড়ানো ক্রসে নাসিরউদ্দিন চৌধূরীর হেড কাছের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়। চলতি লিগে এ নিয়ে ষষ্ঠ গোল করলেন এই ডিফেন্ডার।
চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেওয়ার সুযোগ এসেছিল আবাহনীর সামনে। কিন্তু ডান দিক থেকে সাদ উদ্দিনের বাড়ানো বল গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাঈম ঝাঁপিয়ে পড়েও গ্লাভসে নিতে পারেননি। তবে বল সানডে চিজোবার কাছে পৌঁছানোর আগে গোলমুখ থেকে ফেরান খান মোহাম্মদ তারা। ৩৯তম মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হয় শেখ জামালের। ডান দিক থেকে জাভেদ খানের বাড়ানো ক্রস এক ডিফেন্ডারের গায়ে মারেন গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড সলোমন কিং। এর আগে রাফায়েল ওডোইনও ঠিকঠাক ব্যাকহিল করতে ব্যর্থ।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে শহীদুল আলম আবাহনীর ত্রাতা। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে জাভেদের নেওয়া বাঁ পায়ের শট শেষ মুহূর্তে ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান এই গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। ৫৭তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় ডি-বক্সে ঢুকে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার নেওয়া শটে বল অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের ভেতর থেকে সানডের ডান পায়ের শট বাঁক খেয়ে জালে জড়ালে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর। লিগে এ নিয়ে নবম গোল করলেন নাইজেরিয়ার এ ফরোয়ার্ড। সানডের গোলের পরই মাঠে ঢুকে পড়েন আবাহনীর সমর্থকরা। শুক্রবার প্রথম ম্যাচে সিও জুনাপিওর একমাত্র গোলে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
মৌসুম | চ্যাম্পিয়ন | ম্যাচ | পয়েন্ট |
২০০৭ | আবাহনী লিমিটেড | ২০ | ৪৭ |
২০০৮–০৯ | আবাহনী লিমিটেড | ২০ | ৫০ |
২০০৯–১০ | আবাহনী লিমিটেড | ২৪ | ৬৭ |
২০১০–১১ | শেখ জামাল | ২২ | ৫১ |
২০১২ | আবাহনী লিমিটেড | ২০ | ৪৫ |
২০১২-১৩ | শেখ রাসেল | ১৬ | ৩৮ |
২০১৩–১৪ | শেখ জামাল | ২৭ | ৬৪ |
২০১৫ | শেখ জামাল | ২০ | ৫১ |
২০১৬ | আবাহনী লিমিটেড | ২২ | ৫২ |
২০১৬-১৭ | আবাহনী লিমিটেড | ২১ | ৫১ |