নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ জানুয়ারি ২০১৮
গাজীপুরের টঙ্গীতে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী হুমায়ূন কবিরসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন-জুয়েল শিকদার, জীবন, বিল্লাল হোসেন ও রবিউল রবু। গত বুধবার রাতে পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিনসহ ৭ রাউন্ড গুলি, একটি চাপাতি, একটি ছুরি ও ২৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। র্যাব বলছে, মূলত মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টঙ্গীর জোড়া খুনের ঘটনা।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে টঙ্গীর দত্তপাড়ার ইশানাদি সরকার রোডের একটি নির্মানাধীন ভবনের নিচতলায় আক্তার হোসেন ও তার চাচাতো ভাই আসিবুর রহমানকে (মিম) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আক্তারের বাবা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় ১৪ জনের নাম উল্লে¬খ করে একটি মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃত হুমায়ুনের নেতৃত্বে প্রায় ৪/৫ বছর ধরে ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র দত্তপাড়া ও এরশাদ নগর এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। হুমায়ুনের নেতৃত্বাধীন এই দলটি দত্তপাড়া ও এরশাদ নগর এলাকার চিহ্নিত দুর্ধর্ষ এবং স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ বলে পরিচিত। তারা ওখানে মাদক ব্যবসা ছাড়াও ছিনতাই-রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
তদন্তে জানা যায়, নিহত মিম এবং আক্তারও মাদক ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গঠন করে। আক্তার সাত বছর দুবাই থাকার পর ২ বছর আগে দেশে ফিরে একটি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানীতে চাকরি নেয়। কিন্তু ২ মাস পূর্বে সে চাকরি ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে মিম ৪ বছর ইতালীতে থাকার পর ৭/৮ মাস আগে দেশে ফিরে। এরা অতি দ্রুত বিত্তশালী হওয়ার প্রলোভনে পড়ে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এজন্য তারা দত্তপাড়ায় মাদক বিক্রির সিন্ডিকেট তৈরি করে।
এই সিন্ডিকেটও দুর্ধর্ষ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির। তারা প্রায়শই নেশা, আড্ডা ও মাদক বিক্রি করত। বিদেশ ফেরত, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এবং স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় সহজেই মিম ও আক্তারের নেতৃত্বাধীন দলটি দত্তপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায় মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। এভাবেই এলাকা ভিত্তিক মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের জের ধরে হুমায়ুন গ্রুপ এবং বিদেশ ফেরত আক্তার ও মিম গ্রুপের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে আক্তার ও মিমকে হত্যা করে হুমায়ুন গ্রুপের লোকজন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |