নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত গৃহকর্মী ফাতেমাকে তার সঙ্গে থাকার অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। ফলে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডে-কেয়ার সেন্টারের ২য় তলায় হস্তান্তর করার পর থেকে নার্স, ফার্মাসিস্ট ও কারারিক্ষদের সঙ্গে বিভিন্ন আলাপ ও পত্রিকা পড়ে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। তার জন্য ডে কেয়ার সেন্টারে একটি খাট, একটি চেয়ার-টেবিল, সোফা ও হাই-কমোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তবে, তার রুমে কোনো এয়ারকন্ডিশন ও টেলিভিশন নেই। প্রতিদিন একটি পত্রিকা দেয়া হচ্ছে পড়ার জন্য। খাচ্ছেন জেল কোড অনুযায়ী সরবারহকৃত খাবার। গতকাল পুলিশসহ একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানান। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ডিভিশন অনুযায়ী খালেদা তার রুমে এসি পাননা। আর অনুমতি না নেয়ায় তাকে কোনো টেলিভিশন দেয়া হয়নি। টেলিভিশনের আবেদন করলে অবশ্যই দেয়া হবে। তবে, বিধি অনুযায়ী তিনি বিটিভি ছাড়া অন্য কিছু দেখতে পারবেন না।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রায় ঘোষনার পরেই খালেদা জিয়াকে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত বিশেষ আদালত থেকে সাদা রঙের একটি পাজেরা গাড়িতে করে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে নেয়া হয়। পরে তাকে কারাগারের মহিলা সেলের দ্বিতীয়তলার ডে-কেয়ার সেন্টারে নেয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৯ জুন। পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৬ হাজার ৪০০ বন্দিকে কেরাণীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে ২২৮ বছরের পুরনো কারাগার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কেউ কখনো কল্পনাও করেননি কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আর কোনোদিন এ কারাগারে ফের বন্দিজীবন কাটাতে হবে।
কিন্তু ২ বছর ৪ মাস ১০ দিন পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এই পরিত্যক্ত কারাগারে রাত কাটাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।