পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জনগণ জাতীয় জরম্নরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে প্রতিনিয়ত পুলিশের সেবা পাচ্ছেন। তিনি জনগণকে আরও উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সচেষ্ট থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পুলিশ সদর দফতরে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
আইজিপি বলেন, রমজান এবং ঈদ উপলড়্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমনে জোরালো কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। ঈদ উপলড়্গে ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ অন্যান্য অপরাধীদের বিরম্নদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে নজরদারি বাড়াতে হবে। ঈদ উপলড়্গে ঘরমুখ মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি ফিটনেসবিহীন বাস এবং লঞ্চের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, কেউ যেন ধর্মীয় উসকানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য পুলিশের মনিটরিং জোরদার করতে হবে। এ কাজে বিট অফিসারদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে যাতে তারা নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে অবহিত থাকে। কোথাও কোন ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎড়্গণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধে নিয়মিত গানচেকিং করতে হবে। তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আরও বেশি তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম ফেব্রম্নয়ারি মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি সংক্রাšত্ম তথ্য উপস্থাপন করেন। সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরম্নল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারম্নক, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরম্নল ইসলামসহ অন্যান্য অতিরিক্ত আইজিপি এবং ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সকল মহানগর পুলিশের কমিশনার এবং রেঞ্জের ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন।
